আলিয়া কারিকুলাম
মাদ্রাসা শিক্ষার বিভিন্ন স্তরসমূহ এবং তাদের বিস্তারিত বিবরণ
ইবতেদায়ী (প্রাথমিক)
ইবতেদায়ী স্তরটি প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করে এবং আরবি, বাংলা, গণিতসহ অন্যান্য প্রাথমিক বিষয় শেখানো হয়।
দাখিল
দাখিল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা এবং সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়।
আলিম
আলিম স্তরে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা দেওয়া হয়। ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি বিজ্ঞানের বিষয়গুলো শেখানো হয়।
ফাজিল
ফাজিল হল স্নাতক স্তর। এখানে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় এবং আধুনিক শিক্ষায় পারদর্শিতা অর্জন করেন।
কামিল
কামিল হল স্নাতকোত্তর স্তর। এটি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে বিবেচিত হয়।
হিফজ কারিকুলাম
কুরআন হিফজের ধাপসমূহ এবং তাদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা
প্রাথমিক স্তর
এই স্তরে শিক্ষার্থীদের কুরআন শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত শেখানো হয় এবং আরবি হরফ চেনানো হয়।
মধ্যম স্তর
শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট সূরা মুখস্থ করে এবং কুরআনের একাধিক পারা হিফজ শুরু করে।
উচ্চ স্তর
শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ কুরআন হিফজ সম্পন্ন করে এবং তাজবিদ ও তিলাওয়াতের উন্নতি সাধন করে।
মুরাজাআ (পুনরাবৃত্তি)
এই পর্যায়ে সম্পূর্ণ মুখস্থ কুরআন পুনরাবৃত্তি করা হয় এবং স্মৃতিশক্তি মজবুত করা হয়।
কওমি মাদ্রাসা কারিকুলাম
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার স্তরসমূহ এবং তাদের সময়কাল
নূরানী (প্রাথমিক স্তর)
কুরআন তেলাওয়াত শেখার ভিত্তি এবং আরবি হরফ ও শব্দ চেনানো হয়।
হিফজুল কুরআন (কুরআন মুখস্থ)
সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করা হয় এবং তাজবিদের সাথে সঠিক তেলাওয়াত শেখানো হয়।
ইবতেদায়ি (প্রাথমিক শিক্ষা)
ফিকহ, আকাইদ, নাহু-সরফ, আরবি ব্যাকরণ ও বুনিয়াদি ইসলামী জ্ঞান শেখানো হয়।
মুতাওয়াসসিতাহ (মাধ্যমিক শিক্ষা)
আরবি ভাষা, হাদিস, তাফসির, ইসলামী সাহিত্য এবং ফিকহের গভীরতর জ্ঞান প্রদান।
সানাবিয়া উলিয়া (উচ্চ মাধ্যমিক)
হাদিস, ফিকহ, ইসলামী যুক্তিবিদ্যা এবং সাহিত্য বিষয়ে বিশেষায়িত জ্ঞান অর্জন।
ফাযিল (স্নাতক)
দাওরা হাদিস পর্যায়ে সিহাহ সিত্তাহ (ছয়টি প্রধান হাদিসের গ্রন্থ) পাঠ এবং গবেষণা।
কামিল (স্নাতকোত্তর)
ইসলামী ফিকহে তাখাসসুস, তাফসির, হাদিস এবং গবেষণার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ হওয়া।